পহেলা বৈশাখ নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা
পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশে প্রত্যেক বছর পালন করা হয় থেকে এবং সম্রাট আকবর পহেলা বৈশাখ প্রবর্তন করেন. পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীদের ঐতিহ্যের বাহক এবং ঐতিহ্য স্মৃতি বহন করে থাকে. এজন্য বাঙালি জাতির প্রত্যেক বছর পয়লা বৈশাখে অত্যন্ত ভাবে পালন করে থাকে এবং বিবর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ কে, উদযাপন করা হয়ে থাকে. কিন্তু কবিস সাহিত্যিকগণ পহেলা বৈশাখ কে বিভন্ন কবিতার মাধ্যমে তুলে ধরে থাকেন এবং পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব বোঝার জন্য তারা অনেক কবিতা লিখেছেন এবং তাদের সেই কবিতা গুলো নিচে ধারাবাহিকভাবে প্রদান করা হবে.
পহেলা বৈশাখ নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা
কাজী নজরুলের পহেলা বৈশাখী কবিতা
কালবৈশাখী
কাজী নজরুল ইসলাম
১
বারেবারে যথা কালবৈশাখী ব্যর্থ হল রে পুব-হাওয়ায়,
দধীচি-হাড়ের বজ্র-বহ্নি বারেবারে যথা নিভিয়া যায়,
কে পাগল সেথা যাস হাঁকি –
‘বৈশাখী কালবৈশাখী!’
হেথা বৈশাখী-জ্বালা আছে শুধু, নাই বৈশাখী-ঝড় হেথায়।
সে জ্বালায় শুধু নিজে পুড়ে মরি, পোড়াতে কারেও পারি নে, হায়।।
২
কালবৈশাখী আসিলে হেথায় ভাঙিয়া পড়িত কোন সকাল
ঘুণ-ধরা বাঁশে ঠেকা দেওয়া ওই সনাতন দাওয়া, ভগ্ন চাল।
এলে হেথা কালবৈশাখী
মরা গাঙে যেত বান ডাকি,
বদ্ধ জাঙাল যাইত ভাঙিয়া, দুলিত এ দেশ টালমাটাল।
শ্মশানের বুকে নাচিত তাথই জীবন-রঙ্গে তাল-বেতাল।।
৩
কালবৈশাখী আসেনি হেথায়, আসিলে মোদের তরু-শিরে
সিন্ধু-শকুন বসিত না আসি ভিড় করে আজ নদীতীরে।
জানি না কবে সে আসিবে ঝড়
ধুলায় লুটাবে শত্রুগড়,
আজিও মোদের কাটেনিকো শীত, আসেনি ফাগুন বন ঘিরে।
আজিও বলির কাঁসর-ঘন্টা বাজিয়া ওঠেনি মন্দিরে।।
৪
জাগেনি রুদ্র, জাগিয়াছে শুধু অন্ধকারের প্রমথ-দল,
ললাট-অগ্নি নিবেছে শিবের ঝরিয়া জটার গঙ্গাজল।
জাগেনি শিবানী – জাগিয়াছে শিবা,
আঁধার সৃষ্টি – আসেনিকো দিবা,
এরই মাঝে হায়, কালবৈশাখী স্বপ্ন দেখিলি কে তোরা বল!
আসে যদি ঝড়, আসুক, কুলোর বাতাস কে দিবি অগ্রে চল।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের ছোট ছোট কবিতা
কাজী নজরুল ইসলাম – “প্রলয়োল্লাস (কালবৈশাখী)”
“ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কালবৈশাখীর ঝড়
তোরা সব জয়ধ্বনি কর তোরা সব জয়ধ্বনি কর
ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর
প্রলয় নূতন সৃজন বেদন
আসছে নবীন জীবন ধারা…”
পহেলা বৈশাখ নিয়ে কাজী নুরুল ইসলামের রোমান্টিক কবিতা
“কালবৈশাখীর ঝড়” (“প্রলয়োল্লাস”) – নজরুল
ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কালবৈশাখীর ঝড়,
তোরা সব জয়ধ্বনি কর! তোরা সব জয়ধ্বনি কর!
ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর,
প্রলয়—নূতন সৃজন বেদন,
আসছে নবীন জীবন ধারা…
পহেলা বৈশাখ নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের পহেলা বৈশাখী কবিতা
ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কালবৈশাখীর ঝড়
তোরা সব জয়ধ্বনি কর – তোরা সব জয়ধ্বনি কর
ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর!
প্রলয় নতুন সৃজন বেদন,
আসছে নবীন জীবন অসুন্দরকে করতে ছেদন।
তাই যে এমন কেশে‑বেশে মধুর হেসে
ভেঙ্গে আবার গড়তে জানে সে চির‑সুন্দর।
পহেলা বৈশাখ নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের কিছু কথা
“ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কালবৈশাখীর ঝড়
তোরা সব জয়ধ্বনি কর … ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর!”
পয়লা বৈশাখ নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের কিছু উক্তি
ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কাল্‑বৈশাখীর ঝড়
তোরা সব জয়ধ্বনি কর্! তোরা সব জয়ধ্বনি কর্!!
পহেলা বৈশাখ নিয়ে কাজী নজরুল ইসলামের কিছু বাণী
উপরোক্ত আলোচনা থেকে সহজে বুঝতে পারবেন যে পহেলা বৈশাখ কে বাঙ্গালীর জাতীয় জীবনে একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে এবং আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে তাই কাজী নজরুল ইসলাম পহেলা বৈশাখের বোঝার জন্য বাঙালি জাতিকে বিভিন্ন কবিতা লিখেছেন তাদের সেই কবিতা গুলো আমাদের আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরা হয়েছে.